কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জের ৯টি থানার মধ্যে সাতটিতেই মামলা করা হয়েছে। এসব থানায় পৃথক সাতটি মামলায় আসামি করা হয়েছে অন্তত তিন হাজার ৪০০ জনকে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৪৪০ জনের। তাদের বেশিরভাগই বিএনপি নেতাকর্মী।
এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ৫০ জনকে। সোমবার (২৯ জুলাই) আটজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সামপ্রতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রাম্য কোন্দলের কারণেও অনেক অপরিচিত লোকজনকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসিম বলেন, পুলিশ আসলে হিসাব করে আসামি করে না। তাদের একটি নির্দিষ্ট তালিকা আছে। সে তালিকা ধরেই আসামি করা হয়। যাকে যেখানে মন চায় সেখানেই দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করাই তাদের টার্গেট। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইও-১ (দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কারও কাছ থেকে নাম নিয়ে নয়, বরং ভিডিও দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আবার ভিডিও দেখেই আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আসামিরা সব সময়ই বলে তারা নির্দোষ। কখনো দোষীরা দোষ স্বীকার করে না। কারও দেয়া নাম নিয়ে আসামি করার বিষয়টি সত্য নয়।
টিএইচ